গবেষকরা কোন একটি
বিষয়ে নিরলস শ্রম দিয়ে প্রাপ্ত ফলাফল বিভিন্ন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নাল, বইয়ে পাবলিশ করার
মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে চান। একাডেমিক
ওয়ার্ল্ডে কোন কিছু পাবলিশ করতে হলে, সেটা বুক হোক, বুক চ্যাপ্টার
হোক, বা জার্নাল
আর্টিকেল হোক, পিয়ার
রিভিউ হয়। সংশ্লিষ্ট বিষয়ের একাধিক স্কলারদের দ্বারা এইসবের যাচাইবাচাই হয়, পরীক্ষা-নিরীক্ষা
হয়, পর্যালোচনা হয়।
কখনো কখনো দু'জন রিভিউয়ার ভিন্ন ভিন্ন মত দিলে
তৃতীয়, চতুর্থ, এমনকি দরকার পড়লে
পঞ্চম একজন রিভিউয়ারকে দিয়ে তা রিভিউ করা হয়। যখন এই স্কলার কাম রিভিউয়াররা
ইতিবাচক মত দেন যে, সংশ্লিষ্ট
ম্যানাস্ক্রিপ্টটি/সমুহ একাডেমিক্যালি কোয়ালিটিফুল বা সিগ্নিফিকেন্ট এবং ছাপানোর
যোগ্য, কেবল তখন তা ছাপা
হবে।
কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় আজকাল প্রচুর জার্নাল দেখা যায়, যেগুলোর কাজ কোয়ালিটি গবেষণা পাবলিশ করা না বরং টাকা উপার্জন করা। পাবলিকেশন চার্জ নামে টাকার বিনিময়ে যা তা পাবলিশ করা হয়, কোন কিছু বাছবিচার ছারাই। ছাপার অক্ষরে কোন কিছু ছাপা হলেই তা মূল্যবান হয় না। বহু অখাদ্য, কুখাদ্য আছে যা ছাপার অক্ষরে ছাপা হয়। তাই না জানার কারনে কিংবা এসব জার্নালের আকর্ষণীয় প্রচারণার কারনে অনেক সময় গবেষকরা বিশেষ করে যারা গবেষণার জগতে নতুন ভুল করে এসব জার্নালে তাদের বহু দিনের ফলাফল পাবলিশ করে ফেলে। এ যেন জেনে শুনে জলে ফেলে দেয়ার মত অবস্থা।
কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় আজকাল প্রচুর জার্নাল দেখা যায়, যেগুলোর কাজ কোয়ালিটি গবেষণা পাবলিশ করা না বরং টাকা উপার্জন করা। পাবলিকেশন চার্জ নামে টাকার বিনিময়ে যা তা পাবলিশ করা হয়, কোন কিছু বাছবিচার ছারাই। ছাপার অক্ষরে কোন কিছু ছাপা হলেই তা মূল্যবান হয় না। বহু অখাদ্য, কুখাদ্য আছে যা ছাপার অক্ষরে ছাপা হয়। তাই না জানার কারনে কিংবা এসব জার্নালের আকর্ষণীয় প্রচারণার কারনে অনেক সময় গবেষকরা বিশেষ করে যারা গবেষণার জগতে নতুন ভুল করে এসব জার্নালে তাদের বহু দিনের ফলাফল পাবলিশ করে ফেলে। এ যেন জেনে শুনে জলে ফেলে দেয়ার মত অবস্থা।
একটা কথা সব সময় মাথায় রাখতে হবে, যেনতেন জার্নালে/প্রিডেটরি জার্নালে ৫০ টা পেপার পাবলিশ করার চেয়ে স্বীকৃত জার্নালে ৫ টা পাবলিশ করা উত্তম।
আবার, বলে রাখা ভাল যে, টাকা দিয়ে পাবলিশ
করা মানেই পাবলিকেশনটি খারাপ তা বলা যাবে না। বহু নামকরা এবং স্বীকৃত পাবলিশার আছে
(জার্নাল বা বুক পাবলিশার), যারা
আর্টিকেল/বুক প্রসেসিং চার্জ (এপিসি-APC)
নিয়ে ওপেন এক্সেস পাবলিশ করে এবং সাথে সাথে এই রিগোরাস রিভিউ প্রসেস এনশিউর করে।
অর্থাৎ, রিভিউয়াররা গ্রীন
সিগনাল দিলেই কেবল এপিসি নেয় এবং পাবলিশ করে (এগুলি প্রিডেটরি প্রকাশনার মধ্যে
পড়বে না)। মূল কথা হল, এই
রিভিউ প্রসেস। এখন
প্রশ্ন হল, কোন কোন জার্নাল
কিংবা পাবলিশার মানসম্মত এবং ইন্টারন্যাশনালি স্বীকৃত?? বা কোন জার্নালে
গবেষণা পেপার পাবলিশ করা উচিৎ?
একাডেমিক ওয়ার্ল্ডে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বহু সংস্থা
আছে যাঁদের এবস্ট্রাক্টটেড এবং ইন্ডেক্সড জার্নালগুলি একাডেমিক্যালি রেকগ্নাইজড।
সাইন্স সাইটেশন ইন্ডেক্স (SCI), সাইন্স সাইটেশন ইন্ডেক্স এক্সপান্ডেড (SCI-E), ইমার্জিং সাইন্স সাইটেশন ইন্ডেক্স (E-SCI), সোশ্যাল সাইন্স
সাইটেশন ইন্ডেক্স (SSCI), আর্টস
এন্ড হিউমানিটিস সাইটেশন ইন্ডেক্স (AHCI), এবং স্কোপাস (Scopus) ইন্ডেক্সড জার্নালগুলি নিঃসন্দেহে
মানসম্মত। পাবলিশারের
কথা বললে, নামকরা পাবলিশারসমূহ যেমন টেইলর
এন্ড ফ্রান্সিস (Taylor and Francis), উইলি (Wiley),
স্প্রিঙ্গার (Springer), সেজ (SAGE),
এলসেভিয়ার (Elsevier), সহ বিভিন্ন
বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস কর্তৃক প্রকাশিত জার্নাল সমূহ আন্তর্জাতিকভাবে
স্বীকৃত।
এসব জার্নাল কখনো অফার সম্বলিত
ইমেইল করে না, বা
করে বলে আমাদের জানা নেই। তাই বুঝতে হবে ইমেইল দিয়ে পেপার পাবলিশ করতে বলে কোন
কোয়ালিটির জার্নাল। যেনতেন জার্নালে পেপার পাবলিশ করলে ক্রেডিট এর পরিবর্তে, মনে রাখবেন আপনাকে
সবাই নিচু চোখে দেখবে, আপনার
মান নিয়ে নেতিবাচক ধারনা তৈরি হবে। জার্নাল আর্টিকেল/বুক/বুক
চ্যাপ্টার প্রকাশনার ক্ষেত্রে অবশ্যই জার্নাল
বা প্রকাশকের মান এবং স্বীকৃতির বিষয়টা আমলে নেওয়া উচিৎ। আমরা অনেকে অনেক সময় বিভিন্ন
কনফারেন্সে নিজেদের গবেষণা পেপার প্রেজেন্ট করি। এক্ষেত্রেও ভালো ভাবে দেখে নিতে
হবে, ঐ কনফারেন্স
প্রোসিডিংস ওয়েব অব সাইন্স ইনডেক্সড (Web of Science) কিনা অথবা তাদের
স্পন্সর IEEE, IFIP, IFAC,
ACM, CIRP, ইত্যাদির মত প্রেস্টিজিয়াস সোসাইটি কিনা।
ভালো মানসম্মত
ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত জার্নালের জন্য নিচের লিঙ্ক গুলো ফলো করা যেতে পারে।
২। স্কোপাস ইন্ডেক্সড জার্নাল লিস্টঃ https://www.scopus.com/sources.uri?zone=TopNavBar&origin=searchbasic
৩। SCImago ইন্ডেক্সড জার্নাল
লিস্টঃ https://www.scimagojr.com/journalrank.php?type=j
You may like also:
You may like also:
Post a comment